স্বাধীনতা তুমি কার

ক্ষুধার খাঁচায় ভাবছি বসে
স্বাধীনতা তুমি কার
আজকের সিধু কানুও ভাবছে
উত্তর মেলা ভার!

কলিজা ছিঁড়ে রক্ত ধারার
বহিয়েছে যে গঙ্গা
নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে
হারিয়েছে সে সংজ্ঞা

সেই রক্ত-গাঙের শুভ্রধারায়
সোনার তরী বেয়ে
আসলো সে এক স্বাধীনতা
যেন আপন ঘরের মেয়ে

বিন্দু বিন্দু রক্তে যাঁরা
ভরেছে বিষাদ সিন্ধু
নয় তো তাঁরা একটি জাতি
মুসলিম বা সে হিন্দু

ক্ষুদে যতীন শহীদ হল
হল শহীদ সে প্রফুল্ল
অস্ফাকুল্লার মায়ের দুঃখে
হলাম যে উৎফুল্ল

স্বাধীনতা তুমি করেছ স্বাধীন
দিয়েছো কি সেই মুক্তি
আমিই আমার শাসক বানাই
এই কি তোমার যুক্তি?

স্বধীনতা তুমি করেছ স্বাধীন
মুক্ত করেছ বন্ধন!
তবু কি থেমেছে মানুষের আজ
অনাহারে ক্রন্দন

তুমি কি দিয়েছ নিঃস্ব ছেলের
মুখে একমুঠো ভাত
পেরেছো ঘোঁচাতে বৈষম্যের
নিঝুম নিশুতি রাত

দেশনেতা যেন বেশনেতা আজ
লোক ঠকিয়ে চলে
লাখো সন্তান পিষে যায় তার
নিষ্ঠুর যাতাকলে

রক্ত নিয়েছো করে প্রতিজ্ঞা
দেবে বলে স্বাধীনতা
তবু, এত বছরেও আহত কেন
মানুষের মানবতা?
--------//-------

১০/০৫/১৯৮৭

চড়ুইগাছি, গাইঘাটা

উত্তর ২৪ পরগনা






Comments

Popular Posts