জন্মগত

আলী হোসেন

মাত্র চারদিন বয়স ওর।
অমরাবাসি হয়েছিল
সকলেই যে জীবন কাটিয়ে আসে একান্তে
আর নিশ্চিন্তে
চ্যাপ্টা কেকের মত প্লাসেন্টায় সেও নাভিজুড়ে
শেষ করেছে এক অন্যজীবন। বেঁচেছে পরগাছার মত
তারপর জঠরের নোঙর ছিঁড়ে
বেরিয়ে এসেছে এই সেদিন, প্রবাসি হবে বলে
হলুদ দুধের টিকায় প্রাণ বেঁধে,
ভাসিয়ে দিয়েছে ভেলা মোহনার জন্য।
তারপর থেকেই কাঁদছে সে; এখনও বিরামহীন।


ঠাম্মা বললেন, খিদে পেয়েছে বোধ হয়
বুকের দুধ দিয়ে দেখ তো!

ময়দার খামিটের মত সেও একদলা
বুকের বোঁটায় মুখ রেখে ওম নেয় ঠিকানার
থেকে থেকে কাঁদে। আধাঁরের বুক বেয়ে নেমে
এসেছে আলোর মোহনায়
তাই অনভ্যাসের ঝোড়ো হাওয়ায় মোড়া-খাওয়া চোখ
ঝলসে ওঠে। ও কঁকিয়ে যায়।

তা হলে দেখ, পেট ব্যাথা করছে হয় তো!
একটু বুকে তুলে পিঠ চাপড়ে দাও,
ঢেকুর উঠলেই থেমে যাবে।
ডাক্তার বললেন, তাহলে উডওয়াড’স দাও
... মা ধৈর্য হারান।
তবে খিদেই পেয়েছে, বুকে নিশ্চয় দুধ নেই তোর
দিদা হাঁকেন, একটু গুড়ো দুধ দে তো মা;
চামচ কেটে।

মোহনা ছেড়ে তখন সে আরও গভীরে। খাবি খায়
জঠরের টানে, প্লাংটনের মত অমৃত মুখে
একটু একটু করে ডুবে যায় জীবনের
ধারাপাতে ভিজে.....।

ওমা ম্যাজিক দেখ, থেমে গেল; তারপর ঘুমিয়েও
বাবা অবাক হয়ে বললেন, কী রকম হল!

দাদু বললেন, কি হল আবার, শয়তানি;
তুইও করতিস।
একজীবন ধরে কুসুমথলিতে শুয়ে, বসে,
প্লাসেণ্টায় নাড়ি বেঁধে, গা-ভাসিয়ে হাত-পা ছুড়ে,
শালির আমার ঘুণ ধরেছে চোয়ালে
টেনে খেলে ব্যাথা হবে না....!

বাবা আরও একবার আবাক হলেন, তার মানে?

মানে, দুষ্টুমি। আমরা তো জন্মসূত্রেই দুষ্টু হই,
হই না? একটু কুঁড়েও....?
--------*****---------



১লা ডিসেম্বর,
রাত ১২টা ৪১মিঃ

Comments

Popular Posts